এক ফেলানি মরে গেছে তাতে আমাদের কি??? এক ফেলানিকে কাঁটা তারে ঝুলিয়ে রেখেছে তাতে আমাদের কি???
প্রতিদিন অনেক ফেলানিই মরে...শুধু কাঁটা তারে ঝুলে না দেখে কি আমরা দেখিনা??? হয়ত জানিও না আমাদের অগুচরে শতশত ফেলানি দিন কে দিন ভারতের ওপারে গিয়ে আর ফিরেই আসতেছেনা হয়ত। হয়ত অনেক ফেলানির পেটে আজ বেড়ে উঠছে ভারতের নাগরিক। আমরা টা দেখিনা। দেখতে চাইনা। দেখতে ইচ্ছেও করেনা হয়ত। হয়তো আমরা এইসব বিষয় নিয়ে ভাবিও না কুনো দিন। সারাদিন নিজের সংসারের ঘানি টানতে টানতে কে বা চায় এইসব ঝামেলা কাঁধে নিতে বলুন? আমরাও চাইনা। সকালে কুনো একটা দৈনিক পত্রিকা দেখে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে দুই একটা নিঃশ্বাস ফেলে আবার দৌড়। হয়তো ফেসবুক এর পাতায় একটু-আধটু লাইক, কমেন্তস পরি এই হয়ে গেছে। দেশ টা তো অনেক আগেই সাধিন করে দিয়ে গেছেন আবমাদের বাপ দাদারা। আমরা তো সাধিনতা ভাতা পাচ্ছিই মাসের শেষ তারিখে, সরকারি কোটায় চাকরি ও তো হচ্ছে... কি দরকার এইসব নিয়ে ভাব্বার? দেশের ভিতরেই তো কত ফেলানি মরছে দিনে রাতে। কত ফেলানি দিনের পর দিন ভাই হারা হচ্ছে, কত ফেলানি বাবা হারা হচ্ছে। কত ফেলানি আজ ধর্ষিত হচ্ছে। ফেলানিকে নিয়ে আজ কুনো সিনেমা তৈরি হয়না, ফেলানি তো আর সানিয়া লেওন না যে ওকে ব্র্যান্ড করে জামা পায়জামা তৈরি হবে। ফেলানি তো আর আমাদের রেসমাও না যে ওকে নিয়ে মিডিয়া কাভারেয করবে রাতে দিনে। ফেলানি তো ফেলানিই। ফেলানি তো আমাদের কেউ না বলে আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রি একবার বলেছিলেন ই। হয়তো একদিন আমাদের কেউ বলবে যারা ফেলানির জন্য কাঁদছি, আমরাও দেশের কেউ না। হয়তো আমাদের কেউ ঝুলিয়ে রাখা হবে কুনো এক কাঁটা তারের বেরায়। যেভাবে ইন্ডিয়া ঝুলিয়েছিল ফেলানি কে। যেভাবে ইন্ডিয়া আজ গোঁটা বাংলাদেশ কে ঝুলিয়ে রেখে কাঁটা তারের বেরায়। গোঁটা বাংলার ভাগ্য আজ ঝুলছে। আমরা ঝুলছি। ঝুলতেই থাকব। ফেলানি বোন আমার। আমাকে মাফ করে দিস । তর ঝুলে থাকার প্রতিশোধ নিতে পারিনি তাতে কি, আমরাও তো ঝুলতেছি তর ই মতরে। তুই যে আমাদের অগ্রযাত্রা। তুইজে আমাদের অহংকার। তুই যে আমাদের স্বাধীনতা।
No comments:
Post a Comment