Sunday, September 8, 2013

সর্তকবার্তা ও সংশোধন:
১) আমরা অতি ভক্তি বা আনন্দে ও  মাই গড বা বিদায় বেলায় খোঁদা হাফিয বলে থাকি। একবার কি ভেবেছেন যে খোঁদা বা গড আল্লাহ আর ৯৯ নামের আছে  কিনা??? নেই। তাইলে কার সাথে জেনেশুনে শরীক করছেন এক আল্লাহ কে একবার কি ভেবেছেন???
২ . নমস্কার:
মুসলমানরা কখনও সম্ভাষণের ক্ষেত্রে 'নমস্কার' শব্দটিব্যবহার করতে পারে না। কারণ'নমস্কার' শব্দটির প্রকৃত অর্থ হচ্ছে "আমি আপনার
পায়ে মাথা নত করলাম"। এই শব্দটি অর্থগতভাবে একটি শিরকপূর্ণ শব্দ। কারণ, মুসলমানএকমাত্র আল্লাহ ছাড়া কারও সামনে মাথা নত করে না। জানাঅবস্থায় ব্যবহার করলে প্রকাশ্যে আল্লাহর সাথে শিরক করা হবে। সুতরাং শব্দটা যিনি ব্যবহার করবেন তিনি আল্লাহর সাথে শিরককারী হবেন।

৩)  INSHALLAH: Inshallah এইভাবে লেখার কারণে এর অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়, যারঅর্থ দাড়ায় "আল্লাহকে সৃষ্টি করো" (নাউযুবিল্লাহ)।
ইন-শা-আল্লাহ মূলত আরবি একটি বাক্য। "
ﺀﺎَﺷ ْﻥِﺍ ﺍﻟﻠﻪ" তিনটি শব্দ নিয়ে গঠিত হয়েছে।ْ
ﻥِﺍ - যদি,
ﺀﺎَﺷ - চাই,
ﺍﻟﻠﻪ- আল্লাহ। পূর্ণঅর্থ "যদি আল্লাহ চাই।"তাই বাক্যটি ইংরেজি বা বাংলায় যে ভাষায় লিখুন তিন শব্দে লিখুন। বাংলায়"ইন-শা- আল্লাহ" অখবা "In shaa Allah" এইভাবে লিখুন।

৪) MOSQUE:
Mosque
এইভাবে লেখা থেকে বিরত থাকুন। কারণ শব্দটি উত্পত্তি Mosquito (মশা) থেকে। আমাদের ইসলামিক শব্দ রয়েছে। তাই বলূন এবং লিখুন MASJID.

৫)MECCA:
Mecca
শব্দের আভিধানিক অর্থ হল "মদের ঘর"। অথচ আমরা অজ্ঞতার কারণে আমাদের পবিত্র স্থানকে ঐভাবে লিখি।
ইহুদি খৃস্টানরা আমাদের পবিত্র স্থানকে কলুষিত করতে এইশব্দটির প্রচলণ ঘটিয়েছে। তাই এইরূপ লেখা বর্জন করে লিখুন "MAKKAH"

Saturday, September 7, 2013

হাতুরে ডাক্তার।

একজন ডাক্তার সমাজের অনেক সম্মানী ব্যক্তি । আমাদের সমাজের অধিকাংশ বাবা-মা দের বা ছাত্র-ছাত্রী দের ই এই স্বপ্ন থাকে যে বড় হয়ে সে ডাক্তার হবে, মানুষের সেবা করবে, দেশের সেবা করবে। অনেক মেধা যুদ্ধ করে, অনেক পরিশ্রম  করে বাবা মাকে অনেক রাত না  ঘুমিয়ে, নিজে না ঘুমিয়ে যখন একজন ছেলে বা মেয়ে ডাক্তার হয় তখন ই শুরু হয় আসল সমস্যা। আমাদের সমাজের সবাই মনে করি ডাক্তার মানেই হয় কসাই নতুবা টাকার একটা মস্ত বড় একটা অ্যাকাউন্ট । আসলে এটা আমাদের অনেকের ই ভুল ধারনা। অনেকে যেমন ডাক্তার কে অতি মানবিও কিছুও ভাবি আমরা। অনেক সময় ডাক্তার রা রোগিদের কে অনেক সময় দিতে পারেনা অন্য রোগিদের চাপে যার ফলে অনেকে ডাক্তার এর উপর ও বিরক্ত হয়। এটাও আমি মনে করি ভুল ধারনা। চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার আমাদের সবারই আছে। এটা আমাদের মৌলিক অধিকারেও একটা অংশ। আমরা যারা ডাক্তার হয়েছি এটুকু বলতে পারব যে আমাদের কাছে ফাস্ট প্রায়োরিটি হচ্ছে আমাদের রোগি, আমাদের পরিবার না। দেশের অনেক ডাক্তার ই আছেন যারা ঈদ এর ছুটি পর্যন্ত বিসর্জন দেয় তাদের কর্তবের জন্য । অনেকেই ভাবি টাকার জন্য হয়ত এটা করে থাকেন উনারা আসলে কথাটা তা কখনই নয়। একজন ডাক্তার কখনই একজন মুমূর্ষু রোগীকে ফেলে কোথাও জেতেই পারবেনা। আমরা টিভি সিরিয়াল এ যা দেখি বাস্তবতা কখনই এক না যে টাকার জন্য রোগী মরে যাচ্ছে আর ডাক্তার সেদিকে খেয়ালও করছেনা যদিও  আজ আমার লেখার বিষয়টা এইগুলু বিষয়ের সাথে খুব বেশি সম্পর্ক যুক্ত নয় । আমার লেখাটার উদ্দেশ্য আসলে একটা গন সচেতনতা মুলক বলতে পারেন। আমরা সাধারন মানুষ ডাক্তারের কাছে যাই সঠিক চিকিৎসা পাওয়ার জন্যই। এখানে অবশই খেয়াল রাখতে হবে যে আমাদেরও নিজে সচেতন থেকে অনেক কিছু করার আছে। আমরা যারা চিকিৎসা নিতে যাই তাদের মধ্যে শতকরায় কতজন আছি যারা  ডাক্তার সমন্ধে খেয়াল রাখি? যার কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন উনি আদ্যও ডাক্তার কিনা,একবার ভেবেছেন?একবারও কি খবর নিয়েছেন??একবার কি জানতে চেয়েছেন উনি পাস করেছেন কিনা???  
আমি বেক্তিগত ভাবে পেশায় একজন ডেন্টিস্ট । আমাদের এই পেশাতে যতজন না পাস করা ডাক্তার আছেন তার চেয়ে বরং অনেক গুন বেশিই হাতুরে  নামধারী ডাক্তার আছেন এই দেশে যারা একজন পাস করা ডাক্তার এর সাথে থেকে কাজ দেখে যতটা আয়াত্ত করে  কিছু ঔষধ এর নাম জেনে নিজেরাই এক সময় নামের আগে ডাক্তার বসিয়ে একটা চেম্বার পরিচালনা করে চলেছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ তাদের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন বিনা দ্বিধায় একবারও ভাবছেন  না এত টাকা খরচ করে যার কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন  সে কি আসলেই ডাক্তার কিনা। সে আপনার মুখ গহব্বর এর মত এতটা সংবেদনশীল জায়গায় সমন্ধে কততুকু জানে। কোথায় কোন নার্ভ আছে, কোথায় কোন রক্ত নালী আছে। কোন রুগের জন্য কোন ঔষধ কোন কাজ করতে পারে। কোন ঔষধ এর সাথে কোন ঔষধ ড্রাগ রিয়াকশন করতে পারে, কোন ড্রাগ আপনার শরীরে অ্যালার্জি এর কারন হয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। আমাদের ডেন্টাল এ অনেক রোগ ওই আছে যে গুলির জন্য অনেক উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ঔষধ ব্যাবহার করতে হয়। উচ্চ ক্ষমতার অনেক ঔষধ এর ই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও থাকে অনেক। যদি সঠিক প্রয়ুগ জানা না থাকে। একজন ডাক্তার গোঁটা মেডিসিন সার্জারি বই মুখস্থ করে কঠিন ও জটিল রোগের উপর পড়ালেখা করে যে চিকিৎসা টা শিখে সেটা কি করে একজন নামধারি হাতুরে ডাক্তার কিছুদিন একজন ডাক্তার এর সাথে থেকে কিছু না পড়ে না জেনে সেই রোগের চিকিৎসা দিচ্ছে আর আমাদের দেশের সাধারন মানুষ তা নির্ভাবনায় গ্রহন করছেন। তারা সাধারন রোগের জন্য অতি উচ্চ ক্ষমতার ঔষধ ব্যাবহার করতেছে হরহামেশায় ।যার ফলে ওই রোগ হয়ত কিছুটা ভালো হচ্ছে কিন্তু সেই সাথে ধ্বংস হচ্ছে আমাদের শরীরের উপকারি হাজার হাজার ভালো কার্যকারিতা সম্পন্ন জীবাণু।যার ফলে রোগ সাময়িকের জন্য ভালো করছে ঠিকই কিন্তু রোগির দেহ কে এমন অবস্থা করে তুলছে যে পরবর্তী তে  অন্য কোনো জটিল ও কঠিন রোগের জন্য এই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ঔষধ ও কাজ করবেনা যেটাকে আমরা মেডিকেল এর ভাষায় “ড্রাগ রেছিছটেনছি” বলি । তখন রোগি  হিসেবে নিজেকে অসহায় বোধ করা ছাড়া কিছুই করতে পারবেন না নিজেকে তখন শুধু দোষারোপ ই করে যাবেন শুধুএমন অনেক রোগি আমি দেখেছি এ যাবত যারা অতীত জীবনে এরকম ভুল করেছেন এবং পরে পস্তিয়েছেন । দাঁত এর চিকিৎসা এমনিতেই কিছুটা ব্যয় বহুল। আর সেই চিকিৎসাই যদি আপনার শত্রু হয়ে আপনার ই শরীরে বাসা বাধে সেটা সম্পূর্ণ রুপে আপনাকেই দোষারোপ করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকেনা তখন আমার দেখা ও জানা মতে কোন হাতুরে নামধারি ডাক্তার রা জীবাণু মুক্তকরন( ইস্টেরিলাইযার) যন্ত্র ব্যাবহার করে না।যার ফলে আপনি হেপাটাইটিস কিংবা এইডস এর মত মারাত্মক জীবননাশক রোগের আশঙ্কায় পরতে পারেন  খুব সহজেই যেহেতু আমাদের সকল কাজ ওই শরীরের রক্তের সাথে সম্পর্কিত। আর এমন কিছু যন্ত্র আছে যে গুলু একবার ব্যাবহার করার কথা কিন্তু তারা টাকা বাচানোর ধান্ধায় বারবার ব্যাবহার করে এটাও কতোটা ঝুঁকিপূর্ণ আপনিই ভেবে দেখুন।  আমাদের দেশে একসময় ডেন্টিস্ট তেমন ছিলনা। তখন ই এদের শিকর গজে উঠেছে এই দেশে। আমি এই বিষয়ে আমাদের আইন  বিভাগ কে দোষারোপ করতে পারি যদিও। উনাদের তেমন তৎপরতা নেই এই সকল ভুয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে।সব সম্ভবের দেশ হচ্ছে আমাদের এই দেশ। তাই সচেতন যতটা হতে হবে তা আমাদের কেই হতে হবে। নিজে সচেতন হলে কেউ আমাদের অন্তত ঝুকির মধ্যে ফেলতে পারবেনা বলে আমি মনে করি এখন সঠিক ডাক্তার চিনবেন কেমনে? আপনি আপনার শরীরের মূল্যবান একটা অঙ্গ একজনের কাছে চিকিৎসার জন্য যখন দেবেন তখন খেয়াল রাখবেন যে এ থেকে কতোটা ভালো বা খারাপ হতে পারে। আমাদের সকল এম.বি.বি.এস বা বি.ডি.এস দের কেই সরকারি ভাবে বি.এম.ডি.সি থেকে একটা সনদ দেয়া হয় যার মধ্যে একটা রেজিস্ট্রেশান নাম্বার থাকে। এটাই প্রমান করবে ডাক্তার আসল না নকল। তাই আমার উপদেশ থাকবে আপনার মূল্যবান জীবনের প্রতি অবহেলা করবেন না। একটা ছোট ভুল ই হতে পারে আপনার জীবনের জন্য হুমকি। আপনার পরিবার এর জন্য কান্না।
                                                          

                                                   

Friday, September 6, 2013

এক ফেলানি মরে গেছে তাতে আমাদের কি??? এক ফেলানিকে কাঁটা তারে ঝুলিয়ে রেখেছে তাতে আমাদের কি???
প্রতিদিন অনেক ফেলানিই মরে...শুধু কাঁটা তারে ঝুলে না দেখে কি আমরা দেখিনা??? হয়ত জানিও না আমাদের অগুচরে শতশত ফেলানি দিন কে দিন ভারতের ওপারে গিয়ে আর ফিরেই আসতেছেনা হয়ত। হয়ত অনেক ফেলানির পেটে আজ বেড়ে উঠছে  ভারতের নাগরিক। আমরা টা দেখিনা। দেখতে চাইনা। দেখতে ইচ্ছেও করেনা হয়ত। হয়তো আমরা এইসব বিষয় নিয়ে ভাবিও না কুনো দিন। সারাদিন নিজের সংসারের ঘানি টানতে টানতে কে বা চায় এইসব ঝামেলা কাঁধে নিতে বলুন? আমরাও চাইনা। সকালে কুনো একটা দৈনিক পত্রিকা দেখে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে দুই একটা নিঃশ্বাস ফেলে আবার দৌড়। হয়তো ফেসবুক এর পাতায় একটু-আধটু লাইক, কমেন্তস পরি এই হয়ে গেছে। দেশ টা তো অনেক আগেই সাধিন করে দিয়ে গেছেন আবমাদের বাপ দাদারা। আমরা তো সাধিনতা ভাতা পাচ্ছিই মাসের শেষ তারিখে, সরকারি কোটায় চাকরি ও তো হচ্ছে... কি দরকার এইসব নিয়ে ভাব্বার? দেশের ভিতরেই তো কত ফেলানি মরছে দিনে রাতে। কত ফেলানি দিনের পর দিন ভাই হারা হচ্ছে, কত ফেলানি বাবা হারা হচ্ছে। কত ফেলানি আজ ধর্ষিত হচ্ছে। ফেলানিকে নিয়ে আজ কুনো সিনেমা তৈরি হয়না, ফেলানি তো আর সানিয়া লেওন না যে ওকে ব্র্যান্ড করে জামা পায়জামা তৈরি হবে। ফেলানি তো আর আমাদের রেসমাও না যে ওকে নিয়ে মিডিয়া কাভারেয করবে রাতে দিনে।  ফেলানি তো ফেলানিই। ফেলানি তো আমাদের কেউ না বলে আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রি একবার বলেছিলেন ই। হয়তো একদিন আমাদের কেউ বলবে যারা ফেলানির জন্য কাঁদছি, আমরাও দেশের কেউ না।   হয়তো আমাদের কেউ ঝুলিয়ে রাখা হবে কুনো এক কাঁটা তারের বেরায়। যেভাবে ইন্ডিয়া ঝুলিয়েছিল ফেলানি কে। যেভাবে ইন্ডিয়া আজ গোঁটা বাংলাদেশ কে ঝুলিয়ে রেখে কাঁটা তারের বেরায়। গোঁটা বাংলার ভাগ্য আজ ঝুলছে। আমরা ঝুলছি। ঝুলতেই থাকব। ফেলানি বোন আমার। আমাকে মাফ করে দিস । তর ঝুলে থাকার প্রতিশোধ নিতে পারিনি তাতে কি, আমরাও তো ঝুলতেছি তর ই মতরে। তুই যে আমাদের অগ্রযাত্রা। তুইজে আমাদের অহংকার। তুই যে আমাদের স্বাধীনতা।

Monday, September 2, 2013

ইসলাম মানেই জামাত শিবির না...... ইসলাম মানেই তাব্লিগ জামাত না.......ইসলাম মানেই জঙ্গিবাদ না। ইসলাম মানেই আওয়ামীলীগ না, বিএনপি না, হেফাযত না। ইসলাম মানে হত্যা , খুন দাঙ্গা হাঙ্গামা না, ইসলাম মানে শান্তি। মানলে রাজা না মানলে সর্বহারা।
আগেকার দিনে যখন রাজারা মেয়েদের নাচ দেখতেন তখন সাধারণ মানুষ এটাকে অশ্লিলতা বলত, আর ঐ মেয়েকে সাধারণ মানুষ নর্তকী বলেই জানত কিন্তু ঐ নর্তকীই এখন সাংষ্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব!তখনকার দিনে কোন পিতা তার মেয়েকে নর্তকী বানাতে চাইতেন না এবং কোন মেয়েও খুব সহজে নর্তকী হতে চাইত না।কিন্তু এখন দেখি সমাজের প্রভাবশালী ব্যাক্তির মেয়ে মঞ্চে উঠে হাজার হাজার পুরুষের সামনে সংষ্কৃতি চর্চা করছে!!!নিশ্চয় বুঝে নিয়েছেন?লিখলে ভাষার শালীনতা থাকত না।তাহলে একথা স্পষ্ট যে, এক সময়কার অশ্লীলতা বর্তমানের সংষ্কৃতিচর্চা।তাহলে বর্তমানে আমরা অশ্লীলতা কাকে বলছি?মিনি আর স্কার্ট তো এখন কমন ব্যাপার, তাহলে অশ্লিলতা বলতে এখনকার মানুষ আর খারাপ পোশাক পরাকে বুঝায় না বরং অশ্লীলতা বলতে বুঝায় প্রকাশ্যে শারিরীক সম্পর্ককে তাও একটা কথা থেকেই যায় পদ্মা গার্ডেন, ফয়েস লেক,রমনা বটমূল, জিয়া উদ্যান, রেইনউইকে জোড়ায় জোড়ায় যে অপকর্ম ঘটে তা যদি সরকার অশ্লীলতাই ধরতো তবে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত।তালে আমরা আজকে যেটাকে অশ্লীলতা বলি 30 বছর পরে তা হবে 'সংষ্কৃতি চর্চা আর গণতান্ত্রিক অধিকার' এতে সন্দেহ আছে কি?রাস্তার কুকুরের মত হয়তো দেখবেন এদের অশ্লীল সংষ্কৃতিচর্চা।
হোয়াট ইজ আহলে হাদিস???? হোয়াট ইজ হানাফি, মালিকি, সাফিয়ি, ইলিয়াছি, মউদুদি, যাকিরি,কাদিয়ানি, খারেজি, ব্লা ব্লা ব্লা.........। মুসলমান রাই একমাত্র জাঁতি যারা ধর্ম নিয়ে গবেষণা না করেই উপাসনা শুরু করে দেয়। কুনো এক মিয়াজি সাহেব একটু বিগলিত কণ্ঠে কিছু একটা বলল আর আ্মরাও তাই মেনে নিলাম।একবারও ভাবলাম না এটা সত্যই ধর্মে সহি কিনা । যার ফলাফল হচ্ছে মাজার পুজা, পায়ে হাত দিয়ে সালাম, মাজার সেজদা, পীর অলিদের নবিদের চেয়ে বড় মনে করা, আলি(রা) কে আল্লাহ্‌ এর পুত্র মনে করা, নবী (সঃ) মাটির না নুরের তৈরি টা নিয়ে নাক ফাটান , তাব্লিগ ভালো না জামাত ভালো, পিরের পায়ে তেল মালিশ,নামাজের পর দোয়া করা, ভাগ্যের জন্য বিশেষ দিন মানা,...... আরররররো কত্ত কি। অন্য কুনো ধর্মে এত মারামারি, যুক্তিবাদী, তর্কবাগীশ নাই। এর জন্য শান্তির ধর্ম ইসলাম আজ শান্তি খুজে গুগল, টুইটারে, ফেসবুক এর পাতায় । আমাদের নবী (সঃ) মুসলাম ছিলেন। ব্যাস। এর বাইরে যে যুক্তি খারা করবে সেই শয়তান।তার মাঝেই ইসলাম নিয়ে দ্বিধা আছে। সহি হাদিস আর কুরআন যেখানে এতবড় প্রমান তার পরেউ এত যুক্তি কিসের??? যেখানে স্বয়ং নবী(সঃ) নিজে বলে গেছেন " বনী ইসরাইল রা ৭২ গুত্রে বিভক্ত ছিল, আমার উম্মতেরা ৭৩ গুত্রে বিভক্ত হবে, যার মধ্যে শুধু ১ টা গুত্রই জান্নাতে যাবে যারা শুধু আমাকে অনুসরণ করবে, " আজ আমরা কাকে অনুসরণ করছি? আজ কেউ ক্ষমতার লুভে নাস্তিকদের কে, কেউ আবার সাম্রাজ্যের লোভে ইহুদিদের কে, কেউ আবার ইসলামের মাঝে থেকেউ মুনাফিক দের কে। দ্বীন এর কথা শুনলেই বলে উঠি, বেশি জানা ভালো না।কেউ শুনাতে গেলেই শুনি" ওরকম আমরাউ জানি' এতোই যখন জানি আমরা, আজ আমাদের এরকম অবস্থা কেন??? অন্য ধর্মের কোন প্রকার দোষারপ আমি কেন করব যেখানে আমাদের ধর্মেই হাজার বিভক্তি??? নিজেরাই তো ধর্মের ট্যাগ লাগায়া ব্যবসা করতেছি দিনেরাতে। কিছুদিন আগে একজনের মুখে শুনেছিলাম একটা কথা" বাবা আজকাল নিজের মুক্তিজুদ্ধা বলে পরিচয় দিতে লজ্জা পাই" আমি বলব সেই দিন আর বাকি নাই যেদিন আমরাউ নিজেদের কে মুসলমান বলে পরিচয় দিতে লজ্জা পাব। যদি না এই সব গুত্র বাদ দিয়ে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি আমি মুসলাম...।শুধুই মুসলাম।